ভারতে কৃষকদের জন্য এই বছর নতুন অনেক পরিকল্পনা এবং বাজারে অনুকূল পরিবর্তনের বার্তা নিয়ে এসেছে। এই বছর কৃষি ক্ষেত্রে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে, যা শুধু কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতিতেই সহায়ক নয়, বরং তাদের আধুনিক প্রযুক্তি এবং সম্পদে সজ্জিত করতেও সহায়তা করছে। তুলার দাম বৃদ্ধি, কৃষি যন্ত্রপাতিতে ভর্তুকি, সংরক্ষণ ক্ষমতা বৃদ্ধি, অথবা রাবার মিশনের সম্প্রসারণ-সরকারের প্রতিটি উদ্যোগই কৃষকদের সশক্ত করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে। চলুন, এই বছরের কিছু বিশেষ হাইলাইটস সম্পর্কে জানি।
🌾 তুলার দামে উল্লম্ফন: তুলার দাম এমএসপি থেকে ৮% বেশি, কৃষকদের জন্য সুখবর!
💸 রবি মরশুমে জিপসামে ৫০% ভর্তুকি: ভূমি উন্নয়ন এবং ফসল উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কৃষকদের জিপসামে ভর্তুকি প্রদান।
🏬 পাঞ্জাবে ধান সংরক্ষণে উন্নয়ন: রাজ্যের সংরক্ষণ ক্ষমতা নভেম্বর পর্যন্ত ১৬ লক্ষ টন পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হবে।
🌳 ত্রিপুরার 'সিএম রাবার মিশন': ত্রিপুরা সরকার রাবার মিশনকে আরও ৫ বছরের জন্য সম্প্রসারণ করবে, উপকার পাবেন ৬০,০০০ পরিবার।
🤝 কৃষক মজদুর মোর্চা এবং SKM-এর বৈঠক: পাঞ্জাবে ধান ক্রয়ে সমঝোতা, কিন্তু কৃষক আন্দোলন অব্যাহত।
১. তুলার দামে উল্লম্ফন, কৃষকদের মুখে হাসি 🌾💹
তুলা চাষ করা কৃষকদের জন্য এ বছর বিশেষ সুখবর। উৎপাদন কমে যাওয়ার কারণে তুলার দামে বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। এমএসপি (ন্যূনতম সহায়ক মূল্য)-এর তুলনায় প্রায় ৮% বেশি দামে তুলা বিক্রি হচ্ছে, যা কৃষকদের আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা তৈরি করছে। তুলার উৎপাদনে ঘাটতি এবং বাজারে চাহিদা বৃদ্ধির কারণে এই দাম বৃদ্ধি। আশা করা হচ্ছে, এই প্রবণতা সামনের সময়েও অব্যাহত থাকবে, যা তুলা চাষিদের জন্য স্বস্তি বয়ে আনবে। 💰🌱
২. রবি মরশুমে কৃষকদের জন্য জিপসামে ভর্তুকি 🏞️🪨
ভূমি উন্নয়ন এবং ফসল উৎপাদন বাড়ানোর জন্য সরকার রবি মরশুমে কৃষকদের জিপসামে ৫০% ভর্তুকি দেওয়ার ঘোষণা করেছে। জিপসাম মাটির উর্বরতা বাড়াতে সহায়ক, যা কৃষকদের অধিক ফসল উৎপাদনে সাহায্য করবে। এই পদক্ষেপটি সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ, যা কৃষির উৎপাদনশীলতা এবং কৃষকদের আর্থিক অবস্থার উন্নতিতে সহায়ক হবে। 🌾🌿
৩. পাঞ্জাবে ধান সংরক্ষণ নিয়ে সরকারের প্রস্তুতি 🚜🏢
পাঞ্জাবে ধান সংরক্ষণ নিয়ে কৃষকদের উদ্বেগের সমাধান করা হয়েছে। বর্তমানে রাজ্যে ১৪ লক্ষ টনের সংরক্ষণ ক্ষমতা রয়েছে, যা ১ নভেম্বরের মধ্যে ১৬ লক্ষ টনে উন্নীত হবে। কেন্দ্রীয় সরকারও রাজ্যের সংরক্ষণ অবস্থা নিয়ে তাদের উদ্বেগ দূর করেছে। প্রাইভেট এন্ট্রাপ্রেনিউর গ্যারান্টি (PEG) প্রকল্পের অধীনে ৩১ লক্ষ টনের অতিরিক্ত সংরক্ষণ ক্ষমতা তৈরি করা হচ্ছে, যা কৃষকদের জন্য বিশেষ সহায়ক হবে। এই প্রস্তুতির ফলে পাঞ্জাবে ধান সংরক্ষণে কোনো ঘাটতি থাকবে না এবং কৃষকরা তাদের ফসল সুরক্ষিত রাখতে পারবেন। 🏭🌾
3. ত্রিপুরার 'সিএম রাবার মিশন' ৫ বছরের জন্য সম্প্রসারণ 🌳📈
ত্রিপুরা, যা ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম রাবার উৎপাদনকারী রাজ্য, তাদের 'সিএম রাবার মিশন'-কে আগামী ৫ বছরের জন্য সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করছে। রাজ্যের উপজাতি কল্যাণ বিভাগের পরিচালক শুভাশিষ দাস জানিয়েছেন, এই প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে ৬০,০০০ পরিবারকে রাবার চাষে যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। রাবার মিশনের লক্ষ্য রাজ্যে আরও কর্মসংস্থান তৈরি করা এবং উপজাতি সম্প্রদায়ের উন্নয়নে অবদান রাখা। সরকারের এই উদ্যোগ রাজ্যের কৃষি এবং কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি করার উদ্দেশ্যে নেওয়া হয়েছে। 🌍💪
৫. কৃষক মজদুর মোর্চা এবং SKM-এর বৈঠক: ধান ক্রয় নিয়ে সমঝোতা 🤝
পাঞ্জাব সরকারের মন্ত্রীদের সঙ্গে কৃষক মজদুর মোর্চা এবং সংযুক্ত কৃষক মোর্চা (SKM)-এর গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে ধান ক্রয় নিয়ে আলোচনা করা হয়। এই বৈঠকের পর ধান ক্রয়ের বিষয়ে সমঝোতা হয়েছে, যদিও কৃষক আন্দোলন এখনও চলছে। এই বৈঠক সরকার এবং কৃষকদের মধ্যে আলোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ প্রমাণিত হতে পারে, যা ভবিষ্যতে আরও ভালো সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। ✊🌾