১০০ দিন পর, রসুনের ফসলের সঠিক পুষ্টি ও ব্যবস্থাপনা না হলে ফলন কমে যেতে পারে। এই ব্লগে, আমরা আলোচনা করব কিভাবে মাত্র ১০ দিনের মধ্যে রসুনের কন্দের আকার দ্বিগুণ করা যায়।
১০০ দিনের পর রসুনের যত্ন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
অনেক কৃষক ১০০ দিনের পর রসুনের ফসলের যত্ন নেওয়া বন্ধ করে দেন, মনে করেন যে কন্দ স্বাভাবিকভাবেই বড় হবে। তবে এটি একটি বড় ভুল। এই পর্যায়ে গাছের সঠিক পুষ্টি এবং যত্ন সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন।
রসুনের কন্দের আকার বাড়ানোর জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ
কাত্যায়নী ফাস্ট - প্যাক্লোবিউটাজল ২৩% SC
- অপ্রয়োজনীয় শাক-সবজির বৃদ্ধি বন্ধ করে।
- উদ্ভিদের শক্তি কন্দের বিকাশে কেন্দ্রীভূত করে।
- কন্দের আকার বৃদ্ধি করে এবং মোট ফলন বাড়ায়।ডোজ: ১৫ লিটার পানির জন্য ৫-৮ মি.লি. ফোলিয়ার স্প্রে করুন।
কাত্যায়নী বোরন ২০% EDTA
- কোষ বিভাজন এবং পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে।
- কন্দের উজ্জ্বলতা ও গুণমান বৃদ্ধি করে।
- শিকড়কে শক্তিশালী করে এবং কন্দ ফাটার সমস্যা প্রতিরোধ করে।ডোজ: ১ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
কাত্যায়নী মিক্স মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট
- উদ্ভিদকে প্রয়োজনীয় মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট সরবরাহ করে।ডোজ: ১ গ্রাম প্রতি লিটার পানিতে মিশিয়ে স্প্রে করুন।
সেচ ও পুষ্টি ব্যবস্থাপনা
- ১০০ দিনের পর নিয়মিত সেচ বজায় রাখুন।
- পুষ্টির ঘাটতি হতে দেবেন না।
- ভারসাম্যপূর্ণ সার ব্যবহার করুন, বিশেষ করে পটাশিয়াম ও সালফার।
বড় রসুনের কন্দের গোপন রহস্য - এই ভিডিও মিস করবেন না! 🎥🔥
উপসংহার
যদি আপনি সঠিক সময়ে সঠিক পুষ্টি এবং গ্রোথ রেগুলেটর ব্যবহার করেন, তাহলে রসুনের উৎপাদন প্রতি একরে ৪০-৬০ কুইন্টাল পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে।
FAQs (প্রশ্নোত্তর)
প্রশ্ন: ১০০ দিনের পর রসুনের জন্য সেরা সার কোনটি?
উত্তর: রসুনের বৃদ্ধির জন্য পটাশিয়াম, সালফার এবং বোরন সমৃদ্ধ সার অপরিহার্য।
প্রশ্ন: ১০০ দিনের পর রসুনের ফসল কতবার সেচ দিতে হবে?
উত্তর: আর্দ্রতার অভাব এড়াতে নিয়মিত সেচ বজায় রাখুন, কারণ এটি কন্দের সম্প্রসারণ ও মোট উৎপাদনের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে।
প্রশ্ন: কীভাবে রসুনের কন্দের আকার বাড়ানো যায়?
উত্তর: কন্দের আকার বাড়ানোর জন্য সঠিক পুষ্টি ও যত্ন নিশ্চিত করুন। পটাশিয়াম ও ফসফরাস সমৃদ্ধ সার ব্যবহার করুন, পর্যাপ্ত জল দিন এবং পর্যাপ্ত সূর্যালোক নিশ্চিত করুন।
প্রশ্ন: রসুনের উৎপাদন কীভাবে বাড়ানো যায়?
উত্তর: উচ্চ মানের বীজ নির্বাচন করুন, সঠিক গভীরতা ও দূরত্বে রোপণ করুন, জৈব কম্পোস্ট ও সার প্রয়োগ করুন, নিয়মিত সেচ দিন এবং কীট-পতঙ্গ ও রোগ নিয়ন্ত্রণ করুন।