Measures to Increase Wheat Yield and Stop Lodging (Crop Falling)

গমের ফলন বৃদ্ধি এবং লজিং (গাছ পড়া) রোধ করার উপায়

প্রতিটি মৌসুমে গম চাষীদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ আসে—কিভাবে উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় এবং সম্ভাব্য ক্ষতি কমানো যায়। গমের লজিং বা গাছ পড়ে যাওয়া অন্যতম বড় সমস্যা, যা সাধারণত চূড়ান্ত সেচের পর ঘটে। এটি প্রতি একরে ৪-৬ কুইন্টাল ফলনের ক্ষতি করতে পারে।

এই ব্লগে, আমরা গমের লজিং এর কারণ, প্রতিরোধের উপায়, সঠিক সেচ ব্যবস্থা এবং পুষ্টি ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো, যা আপনাকে সর্বোচ্চ উৎপাদন নিশ্চিত করতে সাহায্য করবে।

গমের লজিং এর প্রধান কারণ এবং প্রতিকার

১. ফসফরাসের অভাব (Phosphorus Deficiency)

ফসফরাস গমের শেকড় এবং কান্ড শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ। যদি গম চাষের শুরুতে যথেষ্ট পরিমাণে ফসফরাস না পাওয়া যায়, তাহলে গাছের কান্ড দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সহজেই পড়ে যায়।

সমাধান:

  • DAP সার (Diammonium Phosphate) বা ফসফরাস সমৃদ্ধ সার বপনের সময় বা প্রথম সেচের সাথে প্রয়োগ করুন।
  • এটি ৮০-৯০% লজিং প্রতিরোধ করতে সাহায্য করবে।

২. উচ্চ বীজ ঘনত্ব (High Seed Rate)

অনেক চাষী বেশি ফলনের আশায় প্রতি একরে বেশি বীজ বপন করেন। কিন্তু এতে গাছের মধ্যে প্রতিযোগিতা বেড়ে যায়, ফলে গাছ দুর্বল হয়ে পড়ে এবং সহজে পড়ে যায়।

সমাধান:

  • ৪০-৪৫ কেজি/একর বীজ বপন করুন।
  • সঠিক দূরত্ব বজায় রেখে চাষ করলে গাছ শক্তিশালী হবে এবং লজিং প্রতিরোধ হবে।

গমের দানা ভরাটের (Grain Filling) জন্য গুরুত্বপূর্ণ উপাদান

১. সঠিক সময়ে সেচ দিন

গমের নির্দিষ্ট বৃদ্ধি পর্যায়ে সঠিক সেচ দিলে ৪-৬ কুইন্টাল বেশি ফলন পাওয়া সম্ভব।

২. পটাশের ব্যবহার (Potash Fertilizer)

পটাশের অভাবে গমের দানা দুর্বল ও সংকুচিত হয়ে যায়, ফলে ফলন ও বাজার মূল্য কমে যায়।

সমাধান:

  • MoP (Muriate of Potash) বা SOP (Sulphate of Potash) গমের ফুল আসার আগে প্রয়োগ করুন, যাতে শক্ত ও স্বাস্থ্যকর দানা তৈরি হয়।

৩. ছত্রাকজনিত রোগ প্রতিরোধ (Fungal Disease Control)

গমের রস্ট ডিজিজ (Ratua) ও পাতার ব্লাইট সাধারণ ছত্রাকজনিত রোগ, যা দানা ভরাটে সমস্যা তৈরি করে।

সমাধান:

  • ফ্ল্যাগ লিফ (Flag Leaf) সুস্থ রাখুন, কারণ এটি দানা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
  • ছত্রাকের লক্ষণ দেখলেই ফাঙ্গিসাইড স্প্রে করুন

গমের জন্য সঠিক সেচ ব্যবস্থা (Irrigation Schedule for Wheat)

গমের ফসলের জন্য ৪-৬ বার সেচ প্রয়োজন, যা মাটির ধরন অনুযায়ী পরিবর্তিত হয়। হালকা মাটিতে বেশি এবং ভারী মাটিতে কম সেচের প্রয়োজন হয়।

প্রস্তাবিত সেচ সময়সূচী:

  • প্রথম সেচ (১৫-২০ দিন পর) – শেকড় বৃদ্ধির জন্য
  • দ্বিতীয় সেচ (৩০-৩৫ দিন পর) – কুশি বৃদ্ধির জন্য
  • তৃতীয় সেচ (৪৫-৫৫ দিন পর) – ফুল আসার আগে
  • চতুর্থ সেচ (৭০-৭৫ দিন পর) – দানা ভরাটের সময়
  • পঞ্চম সেচ (১০০ দিন পর) – দানা বৃদ্ধির জন্য
  • ষষ্ঠ সেচ (১১০-১২০ দিন পর, ঐচ্ছিক) – জল থাকলে প্রয়োগ করুন

উপহার

গমের ভালো ফলন নিশ্চিত করতে লজিং প্রতিরোধ, পুষ্টি ব্যবস্থাপনা এবং সঠিক সেচ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

  • ফসফরাস ও পটাশ ব্যবহার করুন।
  • অতিরিক্ত সেচ এড়িয়ে চলুন।
  • সঠিক বীজ হার বজায় রাখুন (৪০-৪৫ কেজি/একর)।
  • ফাঙ্গিসাইড স্প্রে করুন।
  • ফ্ল্যাগ লিফ সুস্থ রাখুন।

এই পদ্ধতিগুলো অনুসরণ করলে গমের উৎপাদন ও লাভ বৃদ্ধি হবে! 🌾💰

গম চাষ সম্পর্কিত সাধারণ প্রশ্ন (FAQs

Q1: পানি সংকট থাকলে গমের সেচ কিভাবে করবো?

কমপক্ষে ৫টি সেচ দিন। আর্দ

Back to blog
1 of 4